valentines day
valentine's day 2020

valentine's day | একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ওরা দুজন এক বছরের বড় ছোট। মেয়েটি বড় আর ছেলেটি ছোট ওরা সব সময় একসাথে থাকতে পছন্দ করে। ছেলেটি মেয়েটিকে একটি চিমটি কাটলে মেয়েটি দুইটা চিমটি কাটে ছেলেটিকে। তবু মেয়েটি চিল্লায়  আর বলে তুই আমাকে বেশি জোরে দিছিস এই বলে কান্না করে। 

আবার মায়ের কাছে নালিশও করে গিয়ে। তারপর ওরা একসাথে যখন কোন নাটক, মুভি কিংবা হাসির কোন মিডিয়া দেখে তখন ওদের দুজন যেন সারা ঘরে আনন্দের মুক্তা ছরায়। একসাথে খেতে বসে দুজন দুই প্লেটের দিকে শকুনের মত তাকিয়ে থেকে চিন্তা করে কোন পিজ বেশি বড় কোনটি ছোট এজন্য ওদের মা ওদের বকতে থাকে তাড়াতাড়ি খাবার শেষ কর।


 আমাকে উদ্ধার কর। তারপর দুজন এক টেবিলে পড়তে বসে মেয়েটি ছেলেটিকে বলে আস্তে শব্দ করে পড় ছেলেটি বলে তুই তাহলে এটা পড় আমি ওই বই পড়বো। এক বই নিয়ে দুজন টানাটানি করতে থাকে পারে দুজনে একটি বই ছিড়ে দুভাগ করে নেয়। ওরা দুজন একসাথে পড়াশোনা করে।  মেয়েটি যখন  আয়নায় মুখ দেখে চুল ঠিক করছে এমন সময় ছেলেটি চিরুনি নিয়ে গেল এবং ছেলেটির মাথা ঠিক করতে থাকলো তখন দুজনে আবার ঝগড়া শুরু। ওই গরু আমি আগে ও বলল না আমি আগে এমনটি বলতে বলতে দুজন দৌড়া দৌড়ী করলো কিছুক্ষণ।

এরপর রেডি হয়ে দুজন কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলো। একটি ছাতার নিচে দুজন কথা বলতে বলতে হাটি হাটি করে যাচ্ছে ওরা দুজন স্কুল জীবন থেকে একসাথে পড়াশোনা করছে কলেজ জীবন পর্যন্ত। এমন জোড়া ধরে থেকে। ওরা এক জন ছারা অন্যজন থাকতে পারেনা। কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। ক্লাস নাইনের বছর ছেলেটিকে শহরের এক ইস্কুলে ভর্তি করে। আর ময়েটি থাকে গ্রামে নাইন, টেন এদুবছর আলাদা হয়ে যায় ওরা। মেয়েটি সারাক্ষণ মনমরা হয়ে বসে থাকে ইস্কুলে গিয়ে ঠিকমতো কথা বলে না কারো সাথে আর ওর সাথে কেউ মিশতেও চায় না। কারন আগেতো ও সেই ছেলেটির সাথে মিশতো অন্য কারো সাথে সঙ্গ দিত না। 

এখন তো ওএকা হয়ে গেছে একজন বন্ধুর দরকার ওর কিন্তু কেবা হবে ওর সে ভালো বন্ধু। একটি মেয়ের সাথে ওবন্ধুত্ব করল কিন্তু সেমেটি ওর সাথে কেমন যেন করে ওকে বুঝতে দেয়না কিছু। একদিন ও বুঝতে পারে যে ওর বান্ধবিটা ওর ভালো চায় না কান নিজে একদিন শুনেছে যে ওর বান্ধবি ওদের কজন ছেলে বন্ধুকে বলছে যে, তোরা ওর সাথে প্রেমের ছলনা করবি। ওকে প্রেমের মায়া জালে ফেলবি পরে ওর সাথে আর কথা বলবি না। এতে ওর পড়ার প্রতি মোনোযোগি হারিয়ে যাবে আর পরীক্ষার সময় ওকে কোন প্রকার সাহায্য  করবি না। 

একথা শুনতে পায় ও তার পর থেকে ও আর কারো সাথে মিশতে চায় না। পড়ার টেবিলে বসে শুধু কান্না করে ও।সেই ছেলেটির কথা মনে করে করে। এস এস সি পাশ করে ঔ শহরে ভর্তি হবে এ আশা নিয়ে দিন কাটায় ও। অন্য দিকে ছেলেটি শহরে পড়ছে।  আবাসিক ভোবনে থাকে ও। সারাদিন ইস্কুল শেষে জানালার গ্রিল ধরে মন মরা হয়ে শুধু ভাবে গ্রামের কথা মা, বাবা, সেই মেয়েটির কথা, আর ভারে বিলে গিয়ে দুজনের সে মাছ ধরতে যাওয়া, বড় মাঠে বল খেলা সবুজ ধান খেতের আইল দিয়ে দুজনের সেই হাসী মাখা মুখ নিয়ে ছোটা ছুটি করা। 

এমন চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় দুটি বছর। এর পর মেয়েটি শহরে আশে আবার দুজন এক সাথে হয়ে যায়। এই ছেলেটি ও মেয়েটি দুজন ভাই বোন। এরা এক  মায়ের পেটের দুই ভাই বোন। এখন ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। দুজন একই কলেজে একই বিষয়ের উপর একাউন্টিংএ অনার্স করছে। গ্রাম ছেড়ে শহরে বাবা মা ছাড়া দুই ভাই বোন একসাথে থাকে। 

মেয়েটির নাম নীলুফা ইয়াসমীন আর ছেলেটির নাম আলামীন। ওদের জন্য  ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল ওদেরকে আপনারা সবাই দোয়া করবেন।   

Post a Comment

Previous Post Next Post